বয়স ৩৫ হওয়ার আগেই পুরুষদের সন্তান নেয়ার জন্য তাগিদ দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, ৩৫ বছরের পরে সন্তান নিলে ত্রæটিপূণর্ ও অকালে সন্তান জন্ম দেয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়। যখন পুরুষের বয়স ৩৪ থেকে ৩৬-এর মধ্যে থাকে তখন থেকেই সন্তান জন্মদানে জটিলতা শুরু হয়। ৪৫ বছর পযর্ন্ত এটা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ তথ্য জানিয়েছে।
গবেষক ও স্ট্যানফোডর্ ইউনিভাসিির্ট স্কুলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল এইজেনবাগর্ বলছেন, সন্তান সুস্থ ও স্বাস্থ্য হওয়ার ক্ষেত্রে বাবার বয়স অনেক গুরুত্ব বহন করে। একবার ৩৫-এ পদাপর্ণ করলেই ত্রæটিপূণর্ সন্তান জন্ম দেয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এটা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। আর এটা হয়ে থাকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পামের্র ডিএনএর হেরফেরের কারণে।
গবেষণার জন্য ২৪-৩৪ এবং ৩৫-৪৪ বছর বয়সী বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। এতে দেখা যায়, ৩৫-৪৪ বছর বয়সী পুরুষেরা নিধাির্রত সময়ের আগেই বাবা হয়েছেন এবং ওই সন্তানদের ওজন ছিল তুলনামূলক কম। ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের সন্তান জন্মের পর ১৪ শতাংশ নবজাতককে নিবিড় পরিচযার্ কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়েছে। ১৪ শতাংশ অকালে জন্ম নিয়েছে, ১৮ শতাংশ দ্রæত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৪ শতাংশের ওজন ছিল কম।
গবেষকরা বলছেন, কোনো ব্যক্তি যদি ৫০ বছর বয়সে বাবা হন তাহলে জন্মের পর তার সন্তানের কৃত্রিম অক্সিজেন দেয়ার দরকার হয় ১০ শতাংশ। এ ছাড়া ২৮ শতাংশ নবজাতককে আইসিইউতে পাঠানো দরকার হয়ে পড়ে।
অধ্যাপক এইজেনবাগর্ আরও বলেন, এ গবেষণায় একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। আর তা হলো বাবা হওয়ার বয়সের সঙ্গে গভর্বতী মায়ের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্পকর্ রয়েছে। ২৫-৩৪ বছর বয়সী বাবাদের তুলনায় ৪৫ বছর বয়সী বা তার ঊধ্বের্র বাবাদের জীবন-সঙ্গিনীর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২৮ শতাংশ।
তবে এ যোগসূত্রতা কেনÑ তা জানাতে পারেননি এই অধ্যাপক। তার মতে, জৈবিক প্রক্রিয়া এর জন্য হয়তো দায়ী। তবে সেটিও অস্পষ্ট। এটার জন্য গভর্বতী মায়ের প্লাসেন্টা (গভের্র ফুল) ভ‚মিকা রাখতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।