শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষপে

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
  ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

বায়ু দূষণ

কিডনি রোগের

ঝুঁকি বাড়ায়

বায়ু দূষণের কারণে ক্রনিক বা দীঘের্ময়াদে কিডনি রোগে (সিকেডি) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নতুন এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।

ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ আছে এমন ব্যক্তিদের ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। দূষিত বায়ুতে সিসা, পারদ ও ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতু থাকে। যা কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান গবেষক জেনিফার ব্রাগ গ্রেশাম বলেন, ‘এটি ধূমপানের মতো ক্ষতিকর, দূষিত বায়ুতে থাকা বিষাক্ত পদাথর্ সরাসরি কিডনিতে প্রভাব ফেলে।’ ‘কিডনি রক্তের দূষিত পদাথর্ ছঁাকার কাজ করে। যে কারণে শরীরে বিষাক্ত পদাথের্র উপস্থিতি কিডনিতেই প্রথম প্রভাব ফেলে।’

এর আগের গবেষণাগুলোয় দেখা গেছে, বায়ু দূষণের কারণে হঁাপানি, অঙ্গে প্রদাহ, ডায়াবেটিসসহ প্রাণঘাতী নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক

শিশুর নাকে পানি

ঝরায় করণীয়

শিশুর নাক দিয়ে যখন প্রায়ই পানি ঝরে তখন বিষয়টি নিয়ে বাবা-মা চিন্তিত না হয়ে পারেন না। নাকের এই পানিকে সরাসরি পানি না বলে শ্লেষ্মা বলাই শ্রেয়। সাধারণত চার থেকে আট বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে নাকে শ্লেষ্মা ঝরার সমস্যা দেখা যায়। এ বয়সে ঘন ঘন ঊধ্বর্শ্বাসনালির প্রদাহ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শিশুদের নাক দিয়ে শ্লেষ্মা ঝরার কারণ বলে মনে করা হয়। সাধারণভাবে অ্যালাজির্ সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে নাক দিয়ে শ্লেষ্মা ঝরার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তবে দরিদ্র পরিবারের অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মধ্যেও এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ এ ধরনের শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

নাক দিয়ে পানি বা শ্লেষ্মা ঝরার অন্যতম কারণ : ভাইরাসজনিত নাকের ইনফেকশন। অ্যালাজির্জনিত নাকের ও সাইনাসের প্রদাহ। সাইনোসাইটিস। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা। নাকের গহŸরে কোনো বস্তু আটকে থাকা। নাকের ঝিল্লির সিলিয়ার অস্বাভাবিক গতিময়তা, অস্বাভাবিক শ্লেষ্মা, ঝিল্লির গ্রন্থির অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি। নাকের কাযর্ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং বাহ্যিক প্রতিক‚ল পরিবেশ থেকে নাককে রক্ষা করতে ভ‚মিকা রাখে এই শ্লেষ্মা। এ ধরনের সমস্যা মাসের পর মাস চলতে থাকলে একজন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের পরামশর্ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বের করতে হবে সমস্যার কারণ। রোগ নিণর্য় হলে, নিণীর্ত কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করলেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক

সাইনোসাইটিস হলে

ক্রনিক সাইনোসাইটিস একটি দীঘের্ময়াদি রোগ বা প্রদাহ। নাকের চারপাশে অস্তিগুলোতে বাতাসপূণর্ কুঠুরি থাকে, যাদের সাইনাস বলা হয়। সাইনোসাইটিস হলো ওই সাইনাসগুলোর ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন।

প্রদাহের কারণ : সাইনাসগুলোর প্রদাহের মধ্যে ম্যাক্সিলালি সাইনাসের প্রদাহ সবচেয়ে বেশি হয়। একিউট সাইনোসাইটিস এবং শ্বাসনালির ওপরের অংশের ইনফেকশন থেকে অ্যালাজির্, অপুষ্টি, স্যঁাতসেঁতে পরিবেশ ও দঁাতের রোগ থেকে এটি হতে পারে। তবে বেশির ভাগ সাইনাসের প্রদাহ নাকের ইনফেকশন থেকে হয়।

লক্ষণ : নাকের পাশে অনবরত ব্যথা, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথাও থাকতে পারে। সবসময় নাক বন্ধ থাকে। কোনো স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে অসুবিধা হয়। বিশেষত, অস্থিরতা এবং অনীহা দেখা দেয়। মাঝেমধ্যে জ্বর আসে। মিউকোমার আবরণ পাতলা হয়ে যায়।

চিকিৎসা : চিকিৎসকের পরামশর্ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। এ ছাড়া ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। দঁাতের ক্ষয় এবং অন্যান্য রোগের চিকিৎসা করাতে হবে। ব্যথা থাকলে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। ওষুধে ভালো না হলে, সাইনাস ওয়াশ করতে হবে। অনেকের ভুল ধারণা আছে, একবার সাইনাস ওয়াশ করলে বারবার করতে হয়। ধারণাটা ঠিক নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<18342 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1