ঘন ঘন পিঠে, কোমরে ব্যথা হচ্ছে? যদি এই সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে খুব তাড়াতাড়িই ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। আপনি ভুগতে পারেন অস্টিওপোরোসিসে। এটি হাড়ের একটি বিশেষ রোগ। পুরুষের চেয়ে নারীরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে বেশি। তবে আগে থেকে লক্ষণ জানা থাকলে এই রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে আক্রান্ত হলে তাই সাবধান হওয়া জরুরি।

যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন অস্টিওপোরোসিস

অস্টিওপোরোসিস নিঃশব্দে ক্ষতি করে। তাই প্রথম থেকে লক্ষণ বোঝা মুশকিল। তবুও সবসময় সজাগ থাকুন। ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে, পেশিতে যন্ত্রণা হলে দ্রæত চিকিৎসকের পরামশর্ নিন।

দঁাতে ক্ষত হলে কিংবা কম সময়ের ভেতর অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে গেলে সতকর্ হওয়া উচিত। বিশেষ করে শিরদঁাড়ায় আকারগত পরিবতর্ন হলে বা ব্যথা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামশর্ নিন।

হিটস্ট্রোক : কী, কেন ও করণীয়

যাদের মধ্যে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেশি

১) যাদের বয়স ৪০-এর বেশি তাদের অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মেনোপজের পর শরীর থেকে অ্যাস্ট্রোজেন হরমোন কম নিঃসৃত হয়। ফলে হাড় দুবর্ল হয়ে পড়ে। তখন এই অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

২) পরিবারের কারও, বিশেষ করে মায়ের যদি এই রোগ থাকে তাহলে এই অসুখ সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যারা রোদে কম বের হন তাদেরও এই অসুখ হতে পারে।

৩) রোগা ও কম উচ্চতার মহিলাদের শরীরের হাড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুবর্ল হয়। ফলে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

৪) যারা ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ করে তাদের এই রোগ হতে পারে। কারণ, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল শরীর থেকে ক্যালসিয়াম কমিয়ে দেয়। ফলে হাড় দুবর্ল হয়ে পড়ে।

যা করণীয়

১) পায়ের পাতা, হিপ বোন বা মেরুদÐে ব্যথা হলে অবহেলা না করে দ্রæত চিকিৎসকের পরামশর্ নিন।

২) সামান্য ব্যথা হলেও ফেলে রাখবেন না।

৩) চিকিৎসকের পরামশর্ নিয়ে নিয়মিত ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম খান।

৪) নিয়মিত শরীরচচার্ করুন।

৫) খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, ফল, ডাল, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার রাখুন।