দেবদারু জাতের অদ্ভুত ইয়ুগাছ
য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
সারা বছর ধরে সবুজ থাকে এমন একটি দেবদারু জাতের গাছ ইয়ু, যেটি হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে। অনেকেই এই গাছটিতে পুনর্জন্ম এবং অনন্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি হিসাবে দেখেন।
এর কারণ, এই গাছের ভেঙে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ডালপালা থেকে নতুন গাছের জন্ম হতে পারে।
এমনকি পুরনো গাছের গুঁড়ির ভেতর থেকেও নতুন একটি ইয়ুগাছের জন্ম হতে পারে, তাই অনেকে একে পুনর্জন্মের উদাহরণ হিসেবেও মনে করেন।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে ইয়ু একটি প্রতীকী গাছ- মারা যাওয়া স্বজনদের কফিনে ইয়ুগাছের অঙ্কুর দেয়া হয় এবং অনেক চার্চের পাশে এই গাছটি দেখা যায়।
তবে খ্রিস্টান ধর্মেরও আগে থেকে অনেক আদিবাসীগোষ্ঠী এই গাছটিকে পূজা করে আসছে। তারা সে সব স্থানে তাদের প্রার্থনা কেন্দ্র নির্বাচন করত, যেখানে আগে থেকেই ইয়ুগাছ রয়েছে।
হাতির সমান সরীসৃপ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা
য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
পোল্যান্ডে বিজ্ঞানীরা ২০০ মিলিয়ন বছর পুরনো একটি সরীসৃপের ফসিল খুঁজে পেয়েছেন। ডায়নোসরের সমসাময়িক এই তৃণভোজী সরীসৃপটির আকার হাতির মতো।
২০০ বছর আগে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতো বিশাল আকারের ডায়নোসর। এ কথা সবার জানা হলেও সেই সময়ের একটি বিশাল সরীসৃপের কথা জানতেন না কেউ। কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীদের একটি দল এমনই এক প্রাণীর ফসিল খুঁজে পেয়েছেন।
'সায়েন্স' পত্রিকায় এই আবিষ্কারের খবর প্রকাশিত হলে জানা যায়, ডায়নোসর ছাড়াও 'ট্রায়াসিক যুগ'-এ ছিল হাতির সমান একটি সরীসৃপও, যা দেখতে অনেকটা গন্ডারের মতো।
চার পেয়ে এই প্রাণীটির ফসিল বা জীবাশ্ম পাওয়া গেছে পোল্যান্ডের লিসোভিৎসে শহরের পাশে। তাই প্রাণীটির নাম 'লিসোভিৎসিয়া বোজানি' রাখা হয়েছে শহরের নামের সঙ্গে মিলিয়েই।
সুইডেন ও পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের এই দলটি জানিয়েছে, মূলত তৃণভোজী এই প্রাণীটির শরীর গন্ডারের মতো হলেও ঠোঁট অবিকল কচ্ছপের মতো।
এর আগে, 'ডাইসাইনোডন্ট' প্রজাতির প্রাণীদের কথা বৈজ্ঞানিক মহলে আলোচিত হয়েছে। লিসোভিৎসিয়ার মতো ডাইসাইনোডন্ট প্রজাতির সরীসৃপও তৃণভোজী ও অন্যান্য দিক দিয়ে স্তন্যপায়ী জীবের কাছাকাছি? কিন্তু আকারের হিসাবে লিসোভিৎসিয়া ডাইসাইনোডন্টের চেয়ে কয়েকগুণ বড়। বিজ্ঞানীরা বলেন, হাতির সমান লিসোভিৎসিয়া দৈর্ঘ্যে সাড়ে চার মিটার ও দশ টন ওজনের। বিপরীতে ডাইসাইনোডন্টের আকার ইঁদুর বা বড়জোর ষাঁড়ের সমান ছিল বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
ডানায়িড এগফ্লাই বা জামচাঁদা প্রজাপতি
য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
জামচাঁদা প্রজাপতির ইংরেজি নাম ডানায়িড এগফ্লাই (উধহধরফ ঊমমভষু), নিমফ্যালিডি পরিবারভুক্ত এ প্রজাপতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ঐুঢ়ড়ষরসহধং সরংরঢ়ঢ়ঁং (খরহহধবঁং). এদের ডানার বিস্তার প্রায় ৭০-৮৫ মিলিমিটার। পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাপতি দেখতে সম্পূর্ণ আলাদা। পুরুষটি কালো, কিন্তু তার ওপর নীলের হালকা আভা চোখ ঝলসে ওঠে। সামনে ও পেছনের ডানার মাঝ-আঁচলে একটি করে বেশ বড় সাদা টিপ, সাদার সীমানা বেশ কাঁটাকাঁটা ও স্পষ্ট। সামনের ডানার শীর্ষে আরও একটা করে সাদা ছোট ছোপ। স্ত্রী প্রজাপতিটি দেখতে হুবহু পেস্নন টাইগারের মতো, বিশেষ করে ওপরের দিকে যে উড়ন্ত অবস্থায় দেখলে চটের স্বরূপ বোঝা যায় না। নিচের পিঠ ওপর-পিঠের মতোই, তবে অপেক্ষাকৃত হালকা রঙের। স্ত্রী ও পুরুষ জামচাঁদা প্রজাপতির চেহারায় যেমন কোনো মিল নেই, তেমনি এদের স্বভাবেও রয়েছে অনেক পার্থক্য। স্ত্রী প্রজাপতিটি আড়ালে-আবডালে থাকে, ছদ্মবেশের কল্যাণে এর বেশকিছু সুরক্ষাও জোটে। সাধারণত ডিম পাড়ার উপযোগী গাছের কাছাকাছিই এটি আনাগোনা করে। মাঝেমধ্যে পাতার আড়ালেও এটি বসে থাকে। অন্যদিকে পুরুষ প্রজাপতিটির রোদ খুব প্রিয়। কখনো সরাসরি মাটির ওপরেই সাধারণত মাটি থেকে ২-৬ ফুট উঁচুতে কোনো ঝোপের ওপর বসে থাকে। ডানা সোজা করে অথবা সামান্য উঁচিয়ে বসে থাকে এরা। কাছাকাছি অন্য কোনো প্রজাপতিকে দেখলেই তাড়া করে ধেয়ে যায়।