বাঞ্জি
জাম্পিং
হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
একে বাঙ্গি জাম্পিং উচ্চারণ করে অনেকেই। শব্দটি নিউজিল্যান্ডে উৎপত্তি হতে পারে। শব্দটির সাধারণ অথর্ দঁাড়ায় পা বেঁধে উঁচুস্থান থেকে লাফ দেয়া। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপে অবস্থিত বনলেপ গ্রামে এমন অদ্ভুদ প্রথা পালিত হয়। গ্রামের লোকগুলো ঢাকঢোল পিটিয়ে নাচ-গান করতে থাকে। অন্যদিকে যিনি লাফ দেবেন তিনি উঁচু কাঠের টাওয়ারে নিজের পা রশি দ্বারা বেঁধে নেন। অতঃপর লাফ দেন। অনেক সময় হাড় ভেঙেও যায়। তাদের বিশ্বাস যত উঁচু থেকে লাফ দেবেন স্রষ্টা ততবেশি আশীবার্দ করবেন।
ভয়ংকর
পিরানহা
হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
মাংসাশী পিরানহারা তাদের হিংস্র স্বভাবের জন্য বরাবরই পরিচিত। একঝঁাক পিরানহা যখন একসঙ্গে নদীতে সঁাতরে চলে, তখন তাদের ধারালো দঁাত যে কোনো সাইজের প্রাণীদের মুহূতের্র মধ্যে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে পারে। পড়ে থাকে শুধু হাড়। মাত্র কয়েক মিনিটে আস্ত একটা মানুষকে সাবাড় করে দিয়ে এরা মহাপটু।
মাত্র ১৮ ইঞ্চি লম্বা পিরানহাদের প্রায় ৬০ রকমের প্রজাতি শুধু আমাজন নদীতেই দেখা যায়। এ ছাড়াও কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের কাপ্তাই লেকেও পিরানহা মাছের খেঁাজ পাওয়া গিয়েছিল। পিরানহা মাছের চোয়াল এবং দঁাত এতটাই শক্ত এবং ধারালো যে আমাজনের আদিবাসীরা এদের দঁাত দিয়ে হাতিয়ার তৈরি করে। তবে বলা হয়, শুধু দুটি পিরানহা একসঙ্গে থাকলে ক্ষুধাতর্ অবস্থায় নিজের সঙ্গীকেও খেয়ে ফেলতে পারে এরা!
জোহুর
প্রজাপতি
হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
খয়েরি রঙের ওপর বাদামি রেঁায়াযুক্ত এ প্রজাপতিটির বাংলা নাম জোহুর প্রজাপতি। হেসপেরায়িডি পরিবারের অন্তভুর্ক্ত এ প্রজাপতিটির ইংরেজি নাম রাইস সুইফট (জরপব ঝরিভঃ), আর বৈজ্ঞানিক নাম ইধৎনড় পরহহধৎধ (ডধষষধপব). এদের ডানার বিস্তার প্রায় ২৮-৩২ মিলিমিটার। এদের সামনের ডানায় কয়েকটি অধর্স্বচ্ছ ছোপ রয়েছে। পিছনের ডানায় নিচের পিঠে কয়েকটা ফুটকি রয়েছে যেগুলো মোটামুটি অধর্চন্দ্রাকারে সাজানো। তবে এর সদৃশ প্রজাপতির সংখ্যা এত বেশি যে, একজন বিশেষজ্ঞ ছাড়া এদের শনাক্ত করা প্রায়ই সম্ভব হয় না। এদের শূককীট ধানসহ অন্যান্য গাছে বড় হয় বলে এদের রাইস সুইফট বলা হয়। শূককীটের রং ফিকে সবুজ। ঘাসের ফলকের ডগা মুড়িয়ে এরা একটি শঙ্কু আকৃতির বাসা তৈরি করে। এ প্রজাপতিটি রোদ ভালোবাসে। প্রায়ই এদের পাতার ওপর বসে রোদ পোহাতে দেখা যায়। ছোট ছোট গুল্মজাত ফুলের মধু এরা পান করতে ভালোবাসে। এদের ওড়ার ভঙ্গি দ্রæত এবং এলোমেলো। ফলে উড়ন্ত অবস্থায় এদের নজরে রাখা কঠিন। এদের শূককীট বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস ও ধান এ প্রজাপতির শূককীটের প্রিয় খাদ্য। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, মিয়ানমার, মালয়, ফিলিপিনস, নিউগিনি এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জে এ প্রজাপতিটি দেখতে পাওয়া যায়।