লোকের ফেলা আবজর্নায়
লোহা-লক্কর, প্লাস্টিক, ভাঙ্গা টিন
আছে যতসব কুড়িয়ে বেড়াই
বস্তা কঁাধে সারাটা দিন।
আবার কখনো সিগন্যালে গিয়ে
হাত পেতে চাই দুটি টাকা।
ট্রাফিকের হাতের ইশারায় যবে
থেমে যায় সব গাড়ির চাকা।
কখনো আবার মালা গেঁথে
ঘুরে ঘুরে বেচি ফুল,
চিনলে কি ভাই আমায় তোমরা
আমি যে এক ছিন্নমূল।
ছেঁড়া, নোংরা, ময়লা জামা
কালচে মলিন দেহ,
কেউ বা বলে পথশিশু
কেউ বা ডাকে টোকাই।
কভু নামটা ডাকে না কেহ
আমি যে রবি বাবু।
রৌদ্রে যেমন পুড়ি আমি
তেমনি ভেজায় বারি;
সারা দিন ধরে খেটে যাই তবু
পেটপুরে কভু খেতে নাহি পারি।
শখ-আহ্লাদ নেই যে আমার
কষ্টে ভরা এই যে জীবন,
আদর-সোহাগ করে না কেউ
ইচ্ছে কভু হয়নি পূরণ।
সবকিছুতেই অভাব আমার
রাত্রে ঘুমাই পরম সুখে;
অমূল্য সব স্বপ্ন অঁাকি
ঘুম জড়ানো চোখে।
বাপ-মায়ের ঠিকানা নাই
নাই যে ধমর্-বণর্-গোত্র-ক‚ল;
চিনলে কি ভাই আমায় তোমরা
আমি যে ছিন্নমূল।