মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
রা জ শা হী বি শ্ব বি দ্যা ল য়

অতিথি পাখির কলতানে মুখর মতিহারের সবুজ চত্বর

আসিফ হাসান রাজু
  ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

পাখি সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে শীতকালে ক্যাম্পাসে আশা অতিথি পাখি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ ক্যাম্পাসে এমনিতেই হরেক রকমের পাখির আবাসস্থল রয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে এদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ভিনদেশি নানা প্রজাতির পাখি। শীতকালে ক্যাম্পাসে এখন সূর্য উঠে পাখির কলতানে আর শিক্ষার্থীদের ঘুম ভাঙে অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়গুলোতে চলে অতিথি পাখির বিচরণ। নিঃসংশয়ে ডানা মেলে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি দল বেঁধে ছুটে বেড়াচ্ছে এক জলাশয় থেকে অন্য জলাশয়ে। খাবারের সন্ধানে কখনও জলাশয়ে ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া, আবার কখনও উড়ে গিয়ে গাছের ডালে বসে বিশ্রাম নেওয়ার দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় নিমিশেই। পাখিগুলো যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে জলাশয়ে কিংবা আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলে এ দৃশ্য দেখলে মনে হয় এখানে পাখির মেলা বসেছে। অতিথি এ পাখিগুলো ক্যাম্পাসে থাকে নভেম্বরের শুরু থেকে প্রায় পাঁচ মাসের অধিক সময় ধরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট-বড় পুকুরগুলোতে এদের আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায়। বিকাল বেলা এদের সঙ্গে কিছুটা সময় যেন যান্ত্রিক জীবন থেকে মুক্তি দেয়। ভোরের আলো ফুটতেই এদের আনাগোনা আর ওড়াউড়ি, ঝাঁপাঝাঁপি শুরু হয়ে যায়। এ গাছ থেকে ও গাছে; একটু পরই পানিতে, আবার উড়ছে আকাশে। কিছু আবার পালকের ভেতর মুখ গুঁজে রোদ পোহাচ্ছে। অনেকে আবার মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নামছে। বিকাল বেলা অনেকে পাখি দেখতে ভিড় করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের পেছনের পুকুর, তাপসী রাবেয়া ও রহমতুন্নেছা হলের পেছনে ফিশারিজ বিভাগের গবেষণা পুকুরসহ ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি জলাশয়ের কাছে- যেখানে আসর বসিয়েছে অতিথি পাখি। শীতকালের এ সময় পাখির কলকাকলি, ঝাঁকেঝাঁকে বিচরণ আর খুনসুটিতে মুখর হয়ে উঠছে পুরো ক্যাম্পাস। এখানে আশা পাখির মধ্যে রয়েছে ছোট সরালি, বড় সরালি, ল্যাঞ্জাহাঁস, ভূতিহাঁস, ঝুঁটিহাঁস ইত্যাদি। প্রিয়জনের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাকে আর পাখি দেখতে আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শামীম আহম্মেদ বলেন, 'সবুজে ঘেরা এ ক্যাম্পাসে অতিথি পাখিগুলো যেন এ যৌবনভরা ক্যাম্পাসটাকে আরও যৌবনদীপ্ত করেছে। ওরা আমাদের অতিথি! সারাদিনের ব্যস্ত সময় পার করে বিকেল বেলা পাখির এ কলকাকলিতে আমি মুগ্ধ।' পাখি দেখতে আসা আনিশা জামান বলেন, 'আজ আমাদের দেশ থেকে নানা জাতের পাখি হারাতে বসেছে। পাখিগুলো আমাদের অতিথি। অনেকে আছে এদের ধরতে চায়। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন এ ব্যাপারে নজর দেন। পাখির কলকাকলি আর মুক্ত মনে উড়ে চলা দেখে মনের মাঝে এক প্রশান্তি বয়ে চলেছে এবং তিনি অনেক উচ্ছ্বসিত।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে