বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মার্কস মেডিকেল কলেজ

দক্ষ চিকিৎসক তৈরির প্রত্যাশায়

নতুনধারা
  ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

রায়হান শরীফ

দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে। এর মধ্যে যেসব কলেজ ঈর্ষণীয় সাফল্য রেখে চলেছে মার্কস মেডিকেল কলেজ (এমআরএমসি) তাদের মধ্যে অন্যতম। মার্কস মেডিকেল কলেজ মার্কস গ্রম্নপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দক্ষ চিকিৎসক তৈরির প্রত্যাশায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বছর নবম ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। যারা গত ১১ অক্টোবর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হবে তারাই ১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। ২০১১-১২ সেশনে প্রথম ব্যাচের ভর্তির মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়।

রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১৪তে এ/৩, প্রধান সড়কের পাশে এ কলেজটি অবস্থিত। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশের সফল চিকিৎসক ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব প্রয়াত ব্রি. জে. (অব.) অধ্যাপক ডা. মাসুদুর রহমান (এমআর) খান এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন দক্ষ চিকিৎসক গড়ার লক্ষ্য নিয়ে। তিনি দেশের প্রথম ইএনটি ও হেড-নেক মাইক্রো সার্জন হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি এ কলেজটির কার্যক্রম শুরু করেন।

এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মে. জে. (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন। উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ডা. ইকবাল মাসুদ খান এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে আছেন দি মার্কস গ্রম্নপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তারিক মাসুদ খান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিবিএ ও এমবিএতে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত।

এ কলেজের শিক্ষাদানে নিয়োজিত আছেন অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী- যার নেতৃত্বে রয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন। শিক্ষকমন্ডলীর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক অধ্যাপক, সহযোগী, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকরা রয়েছেন- যারা ছাত্র-শিক্ষকের সুসম্পর্ক বজায় রেখে পাঠদান করেন। তারা সবাই দক্ষতার সঙ্গে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করছেন।

মার্কস মেডিকেল কলেজের রয়েছে নিজস্ব ক্যাম্পাসে ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ, লেকচার গ্যালারি, কম্পিউটার ও পরীক্ষাগার কক্ষ। এ কলেজের পাঠদান পদ্ধতি খুবই আধুনিক। শিক্ষকরা নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের পাঠদান করান। ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকতে হয়। বিষয়ভিত্তিক পাঠদান শেষে শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক, মাসিক ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। পরীক্ষায় খারাপ করলে অভিভাবকদের ডেকে তাদের উন্নতির জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজের একসঙ্গে পরীক্ষা হয় তাই কোনো শিক্ষার্থীকে পাস না করে পরবর্তী সেশনে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ নেই, পড়াশুনা করেই তাদের পাস করতে হয়। অসদুপায় অবলম্বনের কোনো সুযোগ এখানে নেই।

এ কলেজে রয়েছে বিশাল সংগ্রহসহ কেন্দ্রীয় আধুনিক গ্রন্থাগার। প্রতিবছর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় গ্রন্থ সরবরাহ করা হয়। গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত অভিধান, সহায়ক গ্রন্থ, পাঠ্যবই, স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নাল, ম্যাগাজিন ও দৈনিক পত্রিকা রয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য অধ্যয়নের সুব্যবস্থা রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ গ্রন্থাগারে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনও মেটানো হয়।

শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যার কথা বিবেচনা করে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য ১২০-এর অধিক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন পৃথক হোস্টেলের সুব্যবস্থা রয়েছে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা তাদের দেখাশোনা করেন। হোস্টেলে তাদের স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয়। উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী, বিশেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে আগত শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে থাকে। এ ছাড়া শিক্ষকদের জন্য রয়েছে শিক্ষক লাউঞ্জ এবং ছাত্রদের জন্য স্ন্যাকস্‌ সপ ও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা। যোগাযোগ: এ/৩, মেইন রোড, মিরপুর-১৪, ঢাকা-১২০৬, ফোন: ৯৮৩৪০৩১, ৯৮৩৪০৩৪, ৯০০৩৪৭৫, ৮০৩৩৩৭৩। অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ডা. মো. নাসির উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কের প্রতি যত্নবান। শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা সম্পর্কে আমরা সচেতন। তারা প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমরা তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<70976 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1