আগে কল্পনা করো, তারপর স্টোরি বানাও
আইনস্টাইন বলেছিলেন,
'ওসধমরহধঃরড়হ রং সড়ৎব রসঢ়ড়ৎঃধহঃ :যধহ শহড়ষিবফমব.'
অর্থাৎ জ্ঞানের চেয়ে কল্পনা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ তথ্যের চেয়ে গল্প বেশি মনে রাখতে পারে। তাই সিনেমা একবার দেখলেই মনে থাকে। কাজেই তোমার পড়ালেখাকে গল্প বানিয়ে ফেলো। তখন সেটা আর কঠিন কিছু হবে না।
অনেক স্টুডেন্টদের দেখা যায় তারা অনেক কিছুই জানে কিন্তু ভালোমতো গুছিয়ে বলতে পারে না। ফলে পরীক্ষায় কমন পড়া সত্ত্বেও সে কনফিউজড হয়ে যায় সঠিক উত্তর নির্ণয়ে। তাই, কি পড়ছ সেটা আগে একটু কল্পনা করার চেষ্টা করো, এ ক্ষেত্রে টপিক সম্পর্কিত ছবি কিংবা ভিডিও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এরপর তোমার বই থেকে সেই টপিকের তথ্যগুলো গুছিয়ে ফেলো তারপর তোমার কল্পনার সঙ্গে এই তথ্যগুলো যোগ করে একটি গল্প তৈরি কর। তখন দেখবে টপিকটা দ্বিতীয়বার পড়ার আগেই তোমার সেই ছবিটার কথা মনে পড়ে যাবে সঙ্গে তথ্যও। যেমন : আধুনিক পরমাণুর গঠনের আগে একটি ভিডিও দেখে নাও এরপর বইয়ের তথ্যের সঙ্গে কল্পনাকে মিশাও দেখবে বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। নতুন মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভ কামনা।
রাকিব রওনক
শিক্ষার্থী : ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
কখনো হতাশ হবে না
ভর্তিযুদ্ধের এই সময়টাতে অনেকেই হতাশায় থাকে কোচিংয়ের মার্ক নিয়ে। অন্য একজন বেশি পেল আমি কম কেন পেলাম এটা ভেবেই অনেকে মন খারাপ করে বসে থাকে। কিন্তু এটা না দেখে দেখা উচিত আমি কাল যেমন করেছিলাম আজ তার থেকে ভালো করছি কিনা। যদি ভালো করি তাহলে ওটাই যথেষ্ট। অনেক পড়তে হবে আর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি আমার টেবিলে লিখে রেখেছিলাম এৎবধঃ ধপযরবাবসবহঃ রং নড়ৎহ ড়ভ ংধপৎরভরপব। এটা দেখতাম আর পড়তাম। আসলে ংবষভ সড়ঃরাধঃরড়হ হলো বেস্ট সড়ঃরাধঃরড়হ। কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। আর কোচিংয়ের মার্ক নিয়ে তো না-ই। যথেষ্ট পড়া আর মনোবল এই দুটো থাকলে চান্স পাওয়া সহজ হয়ে যায়। শুভকামনা সবার জন্য।
মো. নাহিদুজ্জামান উষ্ণ
শিক্ষার্থী : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।
মূল বই যতবেশি সম্ভব রিভিশন দাও
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আর মাত্র একটি মাস বাকি। এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মনস্থির করে নিজের স্বপ্নকে আগলে ধরে যতবেশি সম্ভব মূল বই রিভিশন দেয়া। মনে রেখ এখন যে যত বেশিবার মূল বই রিভিশন দেবে, সে তত বেশি এগিয়ে থাকবে অন্যদের তুলনায়। এসময় ঘড়ি ধরে নিজে নিজে পরীক্ষা দিতে হবে বেশি বেশি। নিজের একটি দৈনিক রুটিন থাকা জরুরি, যা তুমি পুরোপুরি মেইনটেইন করবে। দৈনিক পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পারলে পড়ার টেবিলে চকোলেট রাখবে ঘুম ধরলে বা মন চাইলেই খেয়ে নেবে, এতে বাড়তি অ্যানার্জি পাবে। ঘুমাতেও হবে রুটিনমাফিক, বেশিও না আবার একদম কমও না। নিজেকে পড়ার টেবিলে নতুন করে উন্মোচিত করতে হবে, নিজের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ করতে হবে।
মন যা চায় তাই করা যাবে না, কেননা আমাদের মন সবসময়ই শর্টকার্ট ওয়েতে সফল হতে চায় আর যা প্রায় অসম্ভব। সুতরাং এ সময় মনের কথা না শুনে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে বেশি। তাহলেই না কষ্টের পরে আসবে সফলতা, গায়ে জড়াবে তোমার বহু প্রতীক্ষিত সাদা অ্যাপ্রোন। মনে রেখো, আলস্নাহ পরিশ্রমীদের পরিশ্রমকে কখনো বিফলে যেতে দেয় না।
সাব্বির হাসান রাব্বি
শিক্ষার্থী : রংপুর মেডিকেল কলেজ।
লেগে থাকো, অবশ্যই তুমি পারবে!
ভর্তি পরীক্ষার এই সময়টায় লড়াইটা মূলত হয় আত্মবিশ্বাস ও হতাশার মধ্যে! যারা এই হতাশাকে কাটিয়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে পারে, তারাই মূলত ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হয়। হতাশাকে কাটিয়ে ওঠা ও নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে সবার আগে নজর দাও প্রতিটি বিষয়ে নিজের গ্যাপগুলোর দিকে। এরপর কঠিন বিষয়গুলো এবং যা মনে থাকে না, তা বারবার পড়ো এবং পড়াশোনাগুলো ভালো করে গুছিয়ে নাও।
প্রয়োজনে কোনো বড় ভাইয়া-আপুর সাহায্য নিতে পারো। এরপর মডেল টেস্ট পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে ঝালিয়ে নাও।
বিগত সালে আসা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে সলভ করো। দেখবে বইয়ের কোন অংশের ওপর বেশি জোর দিতে হবে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে।
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ঊহমষরংয ও সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে যত প্রশ্ন গননং ভর্তি পরীক্ষায় এসেছে এবং দশম বিসিএস থেকে এ পর্যন্ত আসা সব ঊহমষরংয ধহফ সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন সলভ করো।
রাতে ঘুমানোর সময় সারাদিন যা পড়েছো তা মনে করার চেষ্টা কর। দেখবে সাইড ইফেক্ট হিসেবে ঘুম জলদি চলে আসবে!
আর নিজেদের শরীরের দিকে খেয়াল রেখো! নিয়ম মতো ঘুমাবে,খাবে।
আর মনে রাখবে তোমার যারা অগ্রজ তারাও এই সময় পার করে সফলতা অর্জন করেছে।
তোমার যারা অনুজ... তারাও ভবিষ্যতে তাই-ই করবে। তবে তুমি কেন পারবে না বলো তো?
তাই আজ থেকে নতুন করে শুরু করো তোমার স্বপ্নযাত্রা..
মো. নাজমুস সাকিব বাপ্পি
শিক্ষার্থী : স্যার সলিমুলস্নাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।