ঢাকা কমার্স কলেজ সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কলেজে বিজ্ঞান শাখা খোলার ঘোষণা দিয়েছে। কমার্স বিশেষায়িত দেশসেরা এই কলেজটি আগামী উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৯-২০ সেশন থেকে এ শাখায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির ঘোষণা দিল। নতুন এই শাখা খোলার বোর্ড অনুমতিসহ দাপ্তরিক সব কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে চলছে শিক্ষক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সব প্রস্তুতি- যেমন: প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব ও শ্রেণিকক্ষসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম।
ব্যবসায় শিক্ষায় সুদক্ষ প্রজন্ম তথা নাগরিক গড়ার এক সুমহান লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকসহ স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, মার্কেটিং, অর্থনীতি, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়সহ বিবিএ প্রফেশনাল ও সিএসই প্রফেশনাল বিষয়গুলো অত্যন্ত যত্ন সহকারে পড়ানো হয়। ফলশ্রম্নতিতে কলেজটি বেসরকারি কলেজের মধ্যে দেশের সেরা কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজর্ যাংকিং ২০১৭-এ ঢাকা কমার্স কলেজ এবারও জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারি কলেজ নির্বাচিত হয়েছে। শুধু সেরা কলেজই নয়, ঢাকা অঞ্চলের সেরা ১০টি সরকারি-বেসরকারি কলেজের মধ্যে যেমনি ১ম, তেমনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক-মডেল কলেজ প্রকল্পের ৫টি কলেজের মধ্যেও ১ম স্থান অর্জন করে এই কলেজ। ২ মার্চ, ২০১৯ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপির কাছ থেকে সেরা কলেজের পুরস্কার ও সম্মাননা সনদ গ্রহণ করেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের 'কলেজর্ যাংকিং ২০১৫ ও ২০১৬তেও ঢাকা কমার্স কলেজ দেশের সেরা বেসরকারি কলেজ নির্বাচিত হয়।
শুরু থেকেই এই কলেজ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের মেধাক্রমে শীর্ষস্থান অর্জন করে চলেছে। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ঢাকা কমার্স কলেজ ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ কলেজের স্বীকৃতি লাভ করে। উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৯ ও স্নাতক (পাস) কোর্সে মাত্র ১৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা এ কলেজের বর্তমান ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় এই কলেজের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরেই মেধাস্থান অর্জন করে আসছে। উলেস্নখ্য, কোনো কোনো বছরে এ কলেজ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানসহ অধিকাংশ (২০টি মেধাস্থানের মধ্যে ১৩টি) মেধাস্থান অর্জন করেছে। কলেজটির গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন।