আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে আলেমদের সমর্থন

সাদিক উদ্দিন

টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ফসল উৎপাদনে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহারে ইসলামী শরীয়ায় কোনো বিধি-নিষেধ নেই বলে মত দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আলেমরা। সামাজিক সচেতনতা ও সর্বস্তরে এর গ্রহণযোগ্যতার নিমিত্তে, কৃষি উদ্ভাবন, তথা জীবপ্রযুক্তি ও জিএমও সম্পর্কে সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার গুরুত্ব নিয়ে গত মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় বক্তারা এ মতামত দেন। ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি) দেশের বিশিষ্ট ইসলামী বিশারদ ও চিন্তাবিদদের নিয়ে গত ২৩ জুলাই, 'ইসলামী শরীয়ায় কৃষিবিষয়ক উদ্ভাবন ও কৃষি প্রযুক্তি' শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এফএফবির সিইও মো. আরিফ হোসাইন কৃষিপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি পরিবর্তিত জলবায়ু ও অন্যান্য খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য খাদ্যের বন্দোবস্ত করতে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ও জিন-প্রকৌশল কিভাবে সাহায্য করতে পারে সে বিষয় আলোকপাত করেন। আলোচনা সভার সভাপতি এবং এফএফবি-এর চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, 'আলেম সমাজ কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এর প্রয়োজন সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। যা বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি আরো বলেন, নিরাপদ খাদ্যের প্রাপ্যতা ও খাদ্যে ভেজাল রোধ করতে সবার একযোগে কাজ করা উচিত। মাসজিদ-উত তাকওয়ার খতিব মুফতি মো. সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বিজ্ঞান ও ধর্ম পরস্পরবিরোধী কোনো বিষয় নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা উলেস্নখ করতে চাই, ইসলাম আধুনিক কৃষি উদ্ভাবনকে সমর্থন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব।

সরকারিভাবে ধান কেনা অব্যাহত রাখার দাবি

রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে কাঁঠাল

কাজী কামাল হোসেন

'কৃষকের ঘরে ধান আছে যতদিন, কিনতে হবে ততদিন' এই দাবিতে সরকারি গুদামে ধান কেনা অব্যাহত রাখার জন্য নওগাঁর পত্নীতলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার নজিপুর খাদ্য গুদামের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় কৃষকরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের জামগ্রামের কৃষক মাহবুবুল আলম, নুরুজ্জামান, গণনপুর গ্রামের শাহানাজ পারভীন, পাটিচারা ইউনিয়নের আব্দুস সামাদ প্রমুখ। মানববন্ধনে কৃষকরা বলেন, সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের ধান কেনায় উপকৃত হচ্ছে তারা। তবে সরকার যে পরিমাণ ধান কিনছেন তা পর্যাপ্ত না। কৃষকদের বাঁচাতে ধান কেনা বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করে বেশি করে ধান কেনার দাবি জানানো হয়। তারা আরও বলেন, পত্নীতলায় উপজেলার দুটি খাদ্য গুদামে কৃষকরা খুব সহজেই তাদের উৎপাদিত ধান দিতে পারছেন। এখানে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের কোনো সহযোগিতার অভাব নেই। মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

পাট প্রদর্শনীর

মাঠ দিবস

এ কিউ রাসেল

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে রাজস্ব খাতের তোষা-৮ জাতের পাট প্রদর্শনীর মাঠ দিবস ২২ জুলাই সোমবার ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ পাথালিয়া ২০১ গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সফল চাষি মো. আবদুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ তুষার সাহা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মুহাম্মদ আবদুল হালিম, বস্নকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. ইলিয়াস হোসাইন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. নুরুল ইসলাম, মো. ইউসুফ আলী, মো. আবু কায়সার রাসেল, মো. শফিকুল ইসলাম খান ও মো. সোলায়মান মিয়া, সফল চাষি এ কে এম নাজিম উদ্দিন, মো. ওসমান গণি, মো. তোফাজ্জল হোসেন, খুচরা সার বিক্রেতা মো. সুলতান মাহমুদ, প্রদর্শনী পস্নটের পাট চাষি মো. শামীম, আবদুর রহিম, হারুন অর রশিদ, আবদুস সাত্তার, আশিকুর রহমান প্রমুখ।