শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
কৃষি যান্ত্রিকীকরণ

আশা জাগাচ্ছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা

বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের বাৎসরিক বাজার প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। দেশে কৃষিকাজে যেসব যন্ত্রপাতির ব্যবহার হচ্ছে তার বেশিরভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির ফলে প্রতিবছর বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশিদের দিতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের ১১ হাজার কোটি টাকার প্রায় পুরো মার্কেটটাই বিদেশিদের দখলে...
এস এম মুকুল
  ০৫ মে ২০১৯, ০০:০০
রিমোট কন্ট্র্রোলে চলা যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে চাষাবাদ, ধান কর্তন, মাড়াই ও বস্তায় ভরার কাজ চলছে ছবি : লেখক

বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও কার্যকরী অবকাঠামো না থাকায় এ সেক্টরের ক্রমবিকাশ যতটুকু গড়ে ওঠা দরকার তা হচ্ছে না। দেশীয় কারখানায় কৃষি যন্ত্রাংশ উৎপাদন শুরু হয় আশির দশকের গোড়ার দিকে। পুরনো ঢাকার জিনজিরা, ধোলাইখাল, টিপু সুলতান রোড, নারায়ণগঞ্জের ডেমরায় বিপুল পরিমাণে কৃষি যন্ত্র উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে বগুড়া, টাঙ্গাইল, কুমিলস্না, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ওয়ার্কশপে এখন প্রচুর পরিমাণে মানসম্মত যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। এসব কৃষি যন্ত্রাংশের মধ্যে পাওয়ার পাম্প, পাওয়ার টিলারের টাইন, বেস্নড, লাইনার পিস্টন, পিস্টন রিং, গজপিন ও অন্যান্য স্প্রেয়ার পাম্প বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হচ্ছে। এগুলোর যন্ত্রাংশ তৈরির মধ্যে শুধুমাত্র বর্তমানে বগুড়ায় ৮০-৮৫ শতাংশ যন্ত্রাংশ তৈরি হয়।

বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের বাৎসরিক বাজার প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। দেশে কৃষিকাজে যেসব যন্ত্রপাতির ব্যবহার হচ্ছে তার বেশিরভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানির ফলে প্রতিবছর বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশিদের দিতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের ১১ হাজার কোটি টাকার প্রায় পুরো মার্কেটটাই বিদেশিদের দখলে। যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ এত বড় অঙ্কের টাকা চলে যাওয়ার কারণে রিজার্ভের ওপর চাপ পড়ছে।

জানা যায়, বিদেশি যন্ত্রাংশ আমদানি করতে দেশ প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। এতে দেশীয় কারখানাগুলোর উৎপাদিত পণ্যের বাজার চরমভাবে মার খাচ্ছে। অথচ দেশের বগুড়ায় তৈরি ক্ষুদ্র কৃষি যন্ত্রাংশ দেশের চাহিদা মিটিয়ে নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও ভারতসহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কৃষি যন্ত্রাংশ কারখানাগুলো বর্তমানে দেশের সম্ভাবনাময় একটি শিল্প। দেশে অবাধ আমদানি রোধ করে এ শিল্পকে আরো গতিশীল করতে প্রয়োজন সরকারি পদক্ষেপ।

আশার কথা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি মাঠ পর্যায়ে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বারির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১০ বছরের উদ্ভাবিত হাইস্পিড রোটারি টিলার ৪,০০০টি, বারি বীজবপন যন্ত্র ১,০০০টি, গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র ১৬,০০০টি, ধান ও গম কর্তন যন্ত্র ১০০টি, শস্য মাড়াই যন্ত্র ৪,০০,০০০টি, ভুট্টা মাড়াই যন্ত্র ৪,০০০টি, শস্য কর্তন যন্ত্র ২০০টি কৃষকের মাঠে সঠিক কর্মদক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। দেশে ছোট বড় প্রায় ৮০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি কারখানা বারি এবং ব্রির মডেলের কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করছে। এ ছাড়াও ৭০টি ফাউন্ডারি সপ, ১৫০০টি ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরি কারখানা এবং ২,০০,০০টি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা এই সেক্টরের সঙ্গে জড়িত। এর ফলে দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারখানা গড়ে ওঠার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মঞ্জুরুল আলমের ২০১২ সালের এক তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৭১.১৬ টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য কৃষি যন্ত্রাংশ লেনদেন হয় তার মধ্যে শুধুমাত্র কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে ৮০ বিলিয়ন টাকার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দেশে তৈরি কৃষি যন্ত্রপাতি খাতে লেনদেন হয় ৩৩.৮৫ বিলিয়ন টাকা। কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার্য এমন যন্ত্রপাতি যেমন জমি চাষ ও কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টরের শতকরা ৯৫ ভাগ, ফসল কাটার যন্ত্র-রিপার ৯৯ ভাগ, চারা রোপন যন্ত্র ১০০ ভাগ, কম্বাইন হারভেস্টার ১০০ ভাগ ও বীজবপন যন্ত্র ৭০ ভাগ আমদানি করতে হয়। শুধু মাড়াই কাজে ব্যবহার যন্ত্র থ্রেসার মেশিন ১০০ ভাগ দেশে তৈরি হয়। এর বিপরীতে বর্তমানে দেশে কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারী অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠলেও এসব শিল্প কারখানায় দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাবে এদের উৎপাদিত যন্ত্রপাতির মানও তেমন ভালো নয়, যার ফলে মাঠে কৃষিযন্ত্রের প্রয়োজনীয় কার্যদক্ষতা পাচ্ছে না কৃষকরা।

লাখো মানুষের কর্মসংস্থান

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় বগুড়া শহরে গড়ে উঠেছে এক বিশাল শিল্পাঞ্চল। দেশের কৃষিযন্ত্রাংশের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশের জোগানদাতা বগুড়ার ফাউন্ড্রি শিল্প। ফাউন্ড্রি মালিকরা জানান, ভারতের সাতটি রাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি পণ্য। তবে বাংলাদেশের মোড়কে নয়, ওই দেশের কোম্পানির মোড়কে বিক্রি হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে আর দেশীয় পণ্য হারাচ্ছে স্বত্ব ও ব্র্যান্ড।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ায় যন্ত্রাংশ তৈরির ছোট একটি কারখানা গড়ে উঠেছিল ষাটের দশকে। আজ সেই বগুড়া বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্রাংশ তৈরির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সরকারি বিশেষ কোনো সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই স্থানীয় উদ্যোক্তা ও স্বশিক্ষিত মেকানিকরা এখানে খুলেছেন সম্ভাবনার দুয়ার। এ শিল্পের সঠিক তদারক করা হলে আরো লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কথিত আছে, এই ধলু মেকানিক নামে এক ব্যক্তি ১৯৪০ এর দশকে বগুড়াতে প্রথম হালকা প্রকৌশল শিল্পের কারখানা স্থাপন করেন। তার দেখাদেখি পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে হালকা প্রকৌশল শিল্পের কারখানা বিস্তার লাভ করে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এখানকার শত শত কারখানায় তৈরি হচ্ছে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হরেক রকমের যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ। বগুড়ায় তৈরি এসব কৃষি যন্ত্রপাতি বিক্রয় করার জন্য শহরে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি মার্কেট। যেখানে রয়েছে তিনশরও বেশি বিপণন প্রতিষ্ঠান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মূলত ১৯৮০ দশকে বগুড়ার এই হালকা প্রকৌশল শিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। বগুড়া এগ্রো

মেশিনারি মেনু্যফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রসেসিং জোনের তথ্য মতে, বগুড়ায় এরকম হাজারখানেক কারখানা রয়েছে যেখানে লক্ষাধিক মানুষ কাজ করে। এখানকার এই শিল্প বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কৃষি যন্ত্রপাতি এবং যন্ত্রাংশের শতকরা ৭৫ ভাগ চাহিদা মেটায় যার বার্ষিক বিপণন মূল্য এক হাজার কোটি টাকার বেশি। সেই সঙ্গে ৫শ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়।

আনোয়ারের কৃষিযন্ত্রে কমছে ব্যয়

কোনো চালক ছাড়াই রিমোট কন্ট্র্রোলে চলা যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে চাষাবাদ, ধান কর্তন, মাড়াই ও বস্তায় ভরার কাজ চলছে। বিশেষ করে 'আনোয়ার এক্সেল পাওয়ার টিলার' নামের রিমোট কন্ট্রোল পাওয়ার টিলারে সাধারণ পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টরের চেয়ে অতি দ্রম্নত ও ভালোভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। এ ধরনেরই নতুন নতুন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক ডা. আনোয়ার হোসেন। এসব যন্ত্রে কৃষিকাজে যেমন কমছে আর্থিক, সময় ও শ্রমের অপচয়, তেমনি বাড়ছে ফসলের উৎপাদন ও দাম। ইতোমধ্যেই ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন অনেকে। ফলে সেগুলো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এ অঞ্চলে। যন্ত্র ও এর কাজ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকেও ছুটে আসছেন মানুষ। আনোয়ার হোসেন বলেন, 'নতুন নতুন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নষ্ট বা ফেলে দেয়া মেশিন কিংবা ভাঙ্গাড়ির দোকানে অব্যবহৃত লোহা-লক্কড় আর যন্ত্র দিয়েই তৈরি করি এসব যন্ত্র। সহযোগিতা পেলে আরও অগ্রসর হতে পারব।'

ময়মনসিংহের কেনু মিস্ত্রি

কৃষকবান্ধব যন্ত্রপাতির কারিগর আব্দুলস্নাহ কেনু মিস্ত্রি। ৪৪ প্রকার কৃষকবান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতির উদ্ভাবক তিনি। নাম আবদুলস্নাহ আল পাঠান। সবাই কেনু মিস্ত্রি বলেই চিনে। বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়। স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানী, কেনুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। কৃষকদের জন্য তিনি তৈরি করছেন কৃষিযন্ত্র। কেনু মিস্ত্রির উদ্ভাবিত কৃষিযন্ত্র স্থানীয় ও আঞ্চলিক কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নিজ এলাকার পাশাপাশি জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের কাছেও। গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের রুকনাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা কেনু মিস্ত্রি। জন্ম ১৯৩২ সালে। কেনু মিস্ত্রি বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগের কথা। বোরো ধানের মৌসুম। গ্রামের সব কৃষক খেতের ঘন আগাছা পরিষ্কার করতে দিশেহারা, ঘাম ঝরানো কঠোর পরিশ্রম। সারাদিন কাজ করে পাঁচজন মজুর মাত্র ৮ শতাংশ জমির আগাছা পরিষ্কার করেন। কৃষকদের এমন অবস্থা দেখে কেনু মিস্ত্রি সেই রাতে ঘুমাতে পারলেন না। সারা রাত চিন্তা করে শেষ প্রহরে কিছু লোহার পাত আর কাঠের টুকরা নিয়ে বসে পড়লেন। একটা কিছু বানানোর চেষ্টা। বানালেন কাঠের হাতলওয়ালা লোহার পাতের একটা নিড়ানি যন্ত্র। নিজেই চমৎকার নাম দিলেন 'সেনি উইডার'। পরদিন সেই যন্ত্র দিয়ে খুব সহজে একজন মজুর দিন শেষে ১২ শতাংশ জমির আগাছা পরিষ্কার করলেন। ধানচাষিদের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ল সেই যন্ত্রের খবর! তিনি তৈরি করেছেন ধানমাড়াইয়ের আধুনিক যন্ত্র, খুব সহজে ভূমি কর্ষণের আগরযন্ত্র, গোল আলুর বীজবপন যন্ত্র, নির্দিষ্ট দূরত্বে শস্য বীজবপন যন্ত্র, সবজি বীজবপন যন্ত্র, গুঁটিসার প্রয়োগযন্ত্র, উঁচু গাছে কীটনাশক প্রয়োগ যন্ত্র, আঁচড় যন্ত্র। বানিয়েছেন সহজে জমিতে সেচ দেয়ার পাড়াকল, দোনা এবং পানি সেচের হাতকুন্দা। তৈরি করেছেন কাঠের ওপর শৈল্পিক নক্‌শা করার খোদাইন যন্ত্র, আধুনিক খন্তা, কোদাল, মাটি ও কৃষিভেদে চার ধরনের নিড়ানি যন্ত্র। গভীর কাদা থেকে সহজেই মাছ শিকারের জন্য 'হয়ড়া'। যন্ত্রগুলো বানাতে বাঁশ, কাঠ, লোহা, ইস্পাত, স্টিল ও বাই-সাইকেলের চেইন ছাড়া অন্য কোনো বিশেষ উপাদানের প্রয়োজন হয় না। কেনু মিস্ত্রির তৈরি যন্ত্রগুলো ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা ব্যবহার করছেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশের কৃষিতে কেনু মিস্ত্রির তৈরি হস্তচালিত যন্ত্রগুলো অসাধারণ মেধার পরিচায়ক। কৃষিযন্ত্রগুলো কৃষকবান্ধব। কৃষিতে শতভাগ শক্তিচালিত যন্ত্র এলেও তার তৈরি হস্তচালিত যন্ত্রগুলোর চাহিদা থাকবে। হস্তচালিত কৃষিযন্ত্রের আবেদন বাংলাদেশে কমবে না। জাদুঘরের চারটি কক্ষে রয়েছে কেনু মিস্ত্রির ২৫টি কৃষিবান্ধব যন্ত্রপাতি।

লেখক : কৃষি, অর্থনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<47943 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1