শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কর অব্যাহতি চায় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন

কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
  ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে আপামর মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন- এই প্রধান তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগুতে চায় বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প। আর সে লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিকভাবে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি জানিয়েছে পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত 'বাজেট প্রস্তাব'বিষয়ক আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বৈঠকে উপস্থিত পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বলেন, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে যেখানে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল নিজ দেশে উৎপাদিত হওয়ার পরও খামারিদের ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে; সেখানে আমাদের দেশে ভুট্টা, সয়াবিন মিল, ওষুধসহ বেশিরভাগ কাঁচামাল আমদানিনির্ভর হওয়া সত্ত্বেও এ খাতের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই শিল্প যেহেতু ২০২৫ সালের মধ্যেই রপ্তানি শুরু করতে চান এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব বাজারে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চান, তাই ২০৩০ সাল পর্যন্ত সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি জরুরি বলে মনে করছেন তারা। পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা বলেন, সরকারি হিসাব মতে দেশে বর্তমানে মাথাপিছু ডিমের বার্ষিক কনজাম্পশন ৯০টি এবং মুরগির মাংসের কনজাম্পশন প্রায় ৬.৫ কেজি। জাতিসংঘের হিসাব মতে দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৬ কোটি ৭৭ লাখের ওপরে। সে হিসাবে দেশের ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন ব্যয় প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশীয় পোল্ট্রি শিল্প গড়ে না উঠলে প্রতিবছর এই বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হতো ডিম ও মুরগির মাংস আমদানির পেছনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<47127 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1