শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরজীবী ফুল ধাইরা

নতুনধারা
  ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

ধাইরা পরজীবী উদ্ভিদ। অন্যান্য গাছপালার সঙ্গে এদের প্রধান পার্থক্য হচ্ছে এরা জন্ম ও বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাধারণত আরেকটি গাছের ওপর নির্ভরশীল। মান্দার, বান্ধা ইত্যাদি স্থানীয় বিভিন্ন নাম থাকলেও সাধারণত ধাইরা নামেই বেশি পরিচিত। প্রিয় আবাস পরিণত আমগাছ। কখনও কখনও মেঘশিরীষ, মেহগনি, রাবারবট বা কাঁঠাল গাছেও দেখা যায়। এর জন্মস্থান ভারত, অস্ট্রেলিয়া। ঢাকার রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ দেশের সর্বত্র দেখা যায়। ফুল ফোটার সময় ডিসেম্বর-এপ্রিল। ধাইরা ফুল খড়ৎধহঃযধপবধব পরিবারের সদস্য। বৈজ্ঞানিক নাম উবহফৎড়ঢ়যঃযড়ব ভধষপধঃব। প্রকৃতিতে শীতের আবহ শুরু হলেই উজ্জ্বল লাল, কমলা, হলুদ রঙের ফুলগুলো ফুটতে শুরু করে। কাষ্ঠল লতা। গুচ্ছমূল আশ্রয় আঁকড়ে থাকে। পাতা পুরু ও বিপ্রতীপভাবে বিন্যস্ত। ফুল গুচ্ছবদ্ধ, পুষ্পনল উজ্জ্বল লাল, ওপরে মুখের কাছে সবুজ, ৪টি দীর্ঘ আয়তকার লতিযুক্ত, আড়াই থেকে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা, বৃতি খাটো, পরিপূর্ণভাবে বিকশিত পাপড়ি চুলের মতো সরু ও মরিচা রঙের। বংশবৃদ্ধি পাখিদের মাধ্যমেই। পাখিরা ফল খেয়ে যেসব গাছে ঠোঁট ছোঁয়ায় সেখানেই বীজগুলো ছড়িয়ে পড়ে। ছোট ছোট ফলগুলো একটু মিষ্টি লাগে খেতে, পাখিদের পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদেরও অনেক পছন্দের এই ধাইরা ফল। বাকল ও পাতা বিভিন্ন রোগের মহৌষধ। পৃথিবীতে এ ধরনের প্রায় ৩১ প্রজাতির গাছ রয়েছে। ভারতবর্ষে পাওয়া যায় ৭ প্রজাতির গাছ। প্রায় ৭০ বছর আগে ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ ধাইরার গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করছে।

লেখা ও ছবি : মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<47125 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1