বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু, মানুষ ও পরিবেশের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। খাদ্য, বস্ত্র, পুষ্টি, বাসস্থান, ওষুধপত্র, অথের্র যোগানদাতা হিসেবে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকাযর্, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষা ও উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা পালন করে। প্রাণিজগতের অস্তিত্ব উদ্ভিদ জগতের ওপর নিভর্রশীল এবং এ যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তা ছাড়া পৃথিবীকে বাসযোগ্য অবস্থানে গড়ে তোলা বা কোনো দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য অবশ্যই ২৫ ভাগ বনভ‚মি থাকা আবশ্যক। কিন্তু আমাদের রয়েছে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন মাত্র ১০ ভাগ বনভ‚মি এবং ৭ ভাগ গ্রামেগঞ্জে রোপিত বা সৃজিত বনভ‚মি। যে দেশে বনভ‚মি যত বেশি সে দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের বনভ‚মি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। এ থেকে বোঝা যায় বৃক্ষরোপণ আমাদের জন্য অতীব জরুরি বিষয়। তাই সরকার এ বছর মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে ৩০ লাখ বৃক্ষ রোপণ কমর্সূচি গ্রহণ করেছে।
বৃক্ষ পরম বন্ধু
গ্রিন হাউসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে, প্রয়োজনীয় খাদ্যের জোগান দেয়, অক্সিজেন সরবরাহ করে, বাতাসের অতিরিক্ত কাবর্ন ডাইঅক্সাইড শোষণের মাধ্যমে পরিবেশ নিমর্ল রাখে, ক্ষতিকর দূষিত বাতাস শোধন করে জীবজগৎকে রক্ষা করে, সুশীতল ছায়া দেয়, মাটির ক্ষয় রোধ করে, মাটিতে জৈব পদাথর্ যোগ করে মাটির উবর্রতা রক্ষা করে, মাটিতে উপযুক্ত পরিমাণ পানি ধরে রাখে, জ¦ালানি সরবরাহ করে, জীবন রক্ষাকারী মূল্যবান ওষুধের কঁাচামালের যোগান দেয়, পশু-পাখি ও অন্যান্য বণ্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে, প্রাকৃতিক দুযোর্গ ঝড়-ঝঞ্ঝা জলোচ্ছ¡াস বন্যা রোধ করে, বাড়ি তৈরিতে ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় শৌখিন ও মূল্যবান আসবাবপত্র তৈরিতে, লবণাক্ততা রোধ করে, মানুষের আপদকালে বীমাতুল্য কাজ করে, মাটির ক্ষতিকর বিষাক্ত পদাথর্ শোষণ করে নিয়ে মাটিকে বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার রাখে, বাতাস পরিষ্কার রাখে, বায়ুমÐলের তাপ কমিয়ে আবহাওয়া ঠাÐা রাখে, বায়ু দূষণকারী পদাথর্ যেমন-কাবর্ন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড শোষণ করে এবং গাছের পাতা ঝড়-বাতাসের গতিকে রোধ করে, বৃষ্টির সৃষ্টি করে ও মরুময়তা রোধ করে, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি প্রকৃতিকে মায়াময় ও সৌন্দযর্ময় রূপে সাজিয়ে তোলে।
বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব
পযার্প্ত পরিমাণ বনভ‚মি ও বৃক্ষ না থাকার কারণে আমাদের প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তার মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, মরুময়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাতাসে কাবর্ন-ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে, জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর ক্লোরোফ্লোরো কাবর্ন, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ অনেক অনেক গুণ বেড়ে যাচ্ছে, বায়ুমÐলের ওজন স্তরে ফাটল সৃষ্টি হচ্ছেÑ ফলে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসছে। এসিড বৃষ্টি ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মেরু অঞ্চল ও এন্টারটিকা মহাদেশের বরফ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবতের্নর ফলে আগামী ২ দশকের মধ্যে সারা বিশ্বের ৬০০ মিলিয়ন মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে গবেষক ও বিশ্লেষকদের ধারণা। জলবায়ু পরিবতর্নজনিত কারণে বতর্মানে বাষির্ক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১২৫ মিলিয়ন মাকির্ন ডলার যা ২০৩০ সাল নাগাদ ৩৪০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দঁাড়াবে এবং জলবায়ু পরিবতের্নর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।
বৃক্ষ নিধনের কুফল
ক্রমাগতভাবে দৈনন্দিন বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে নিবির্চারে বৃক্ষ নিধনের ফলে জীববৈচিত্র্য আজ মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন। পশু-পাখির প্রজনন ব্যাহত হওয়ার ফলে সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ আজ বিলুপ্ত প্রায়। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রকৃতি থেকে হাজারো প্রজাতির পশু-পাখি ও জলজ প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজার প্রজাতির গাছের মধ্যে ১০৬টির অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্ত। ৬৩২টি প্রজাতির পাখির মধ্যে ১২টি প্রজাতি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত এবং ৩০টি প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। ১১০টি পশু প্রজাতির ৪০টির কোনো অস্তিত্ব নেই। ৭৮০টি প্রজাতির মাছের মধ্যে ৫৪টির অস্তিত্ব নেই বললে চলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে, ২০২০ সালের মধ্যে কৃষি উৎপাদন ৩০ ভাগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার ২২ শতাংশ কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
একটি গাছ এক বছরে যা দেয়
১০টি এয়ারকন্ডিশনারের সমপরিমাণ শীতাতপ আবহাওয়া তৈরি করে, ৭৫০ গ্যালন বৃষ্টির পানি শোষণ করে, বায়ুমÐল থেকে ৬০ পাউন্ডের বেশি ক্ষতিকারক গ্যাস শুষে নেয়। ১ গ্রাম পানি বাষ্পীভবনে ৫৮০ ক্যালরি সৌরশক্তি ব্যয় করে এবং ১টি বড় গাছ দিনে ১০০ গ্যালন পানি বাতাসে ছেড়ে দেয়। ১ হেক্টর সবুজ ভ‚মি থেকে উদ্ভিদ প্রতিদিন গড়ে ৯০০ কেজি কাবর্ন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে ও সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াকালে ৬৫০ কেজি অক্সিজেন দান করে। ১টি মাঝারি আকৃতির আমগাছ ৪০ বছরে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের অক্সিজেন তৈরি করে। ৫ হেক্টর পরিমাণ বনভ‚মি থাকলে ৩-৪ ডিগ্রি পরিমাণ তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং বাতাসের আদ্রর্তা বৃদ্ধি পায়। বৃক্ষ ৮৫-৯০% শব্দ শোষণ করে নিয়ে শব্দ দূষণ রোধ করে। ১ লাখ ইট পোড়াতে গিয়ে ২৫০০ মণ জ¦ালানি কাঠ দরকার হয় এবং রান্নার কাজে আমাদের দেশে প্রতিবছর দরকার হয় প্রায় ১০৭ কোটি মণ জ¦ালানি কাঠ।
বৃক্ষরোপণে বিবেচ্য বিষয়
সাধারণত বষার্র প্রারম্ভে বৃক্ষচারা রোপণের প্রস্তুÍতি শুরু হয়। তবে বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে সারাবছরজুড়ে বৃক্ষচারা রোপণ করতে দেখা যায়। বসতবাড়ি-বাগান ও আশপাশের পতিত জমিতে অধিক সংখ্যক বৃক্ষচারা রোপণে ও বাগান সৃজনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় হিসেবে জুন থেকে আগস্ট মাস উত্তম। বৃক্ষচারা রোপণের আগে আদশর্ ও মানসম্মত চারা নিবার্চন করতে হবে। সে লক্ষ্যে বিশ্বস্ত সরকারি বা বেসরকারি নাসাির্র হতে চারা ক্রয় করতে হবে। বৃক্ষের চারা রোপণের ক্ষেত্রে স্থান নিবার্চন একটি গুরুত্বপূণর্ বিষয়। সঠিক স্থান বুঝে সঠিক জাতের বৃক্ষচারা রোপণে প্রকৃতি পরিবেশ সৃজন, ফলন ও বৃক্ষরোপণের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে অন্যথায় কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।
কোন স্থানে কোন বৃক্ষ
বাড়ির উত্তর-পশ্চিমে উঁচু বড় জাতের বৃক্ষ। দক্ষিণ-পূবর্ দিকে ছোট মাঝারি আকারের বৃক্ষ লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে-পেয়ারা, ডালিম, কুল, সফেদা, নারিকেল, সুপারি ও উন্নত জাতের কলমচারা, নিম, শরিফা, আতা, সবরিকলা, আনাজিকলা, বাতাবিলেবু, বকফুল, তেজপাতা, দারুচিনি, কামরাঙ্গা, কদবেল, গোলাপজাম, লটকন প্রভৃতি জাতের বৃক্ষচারা লাগানো যেতে পারে। বসতবাড়ির কিনারায় লেবু, আমড়া, সজিনা, নারিকেল, সুপারি প্রভৃতি গাছ লাগানো ভালো। পুকুর পাড়ে নারিকেল, সুপারি, তাল, খেজুর, কঁাঠাল, জাম, সজিনা, কলা, অজুর্ন, নিমগাছ লাগাতে পারেন। ফসলের ক্ষেতের আইলে সজিনা, খেজুর, আমলকী, নিম প্রভৃতি গাছ রোপণ করা যায়।
রাস্তা, রেললাইন, বঁাধ ইত্যাদি স্থানের জন্য নিম, জাম, কঁাঠাল, শিশু, একাশিয়া, অজুর্ন, বকুল, ছাতিম, মেহগনি, জারুল, নারিকেল, কৃষ্ণচ‚ড়া, বাবলা প্রভৃতি গাছ ব্যবহার করা যায়। অফিস প্রাঙ্গণের জন্য নারিকেল, সুপারি, সফেদা, নিম, বকুল, জামরুল, আমলকী, অজুর্ন, হরীতকী, বহেরা, লেবু, আম, জাম, কঁাঠাল প্রভৃতি গাছ ব্যবহার করা যায়।
চারা রোপণ কৌশল
নিদির্ষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চারা রোপণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বৃক্ষরোপণ স্থান ও জাতভেদে (ফলদ, বনজ, ঔষধি) ভিন্ন জাতের বৃক্ষের দূরত্ব ভিন্ন ভিন্ন হবে। গতর্ খননেও রয়েছে ভিন্নতা। চারা রোপণের জন্য গতর্ খননের বেলায় গতের্র নিচের মাটি একদিকে এবং গতের্র উপরের মাটি অন্যদিকে রাখতে হবে। বৃক্ষের জাত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে গতর্ খনন থেকে প্রাপ্ত মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক ও জৈব সার মিশিয়ে গতর্ ভরাট করতে হবে। গতের্ মাটি ভরাটের ক্ষেত্রে গতের্র ওপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি ওপরে দিতে হবে। গতর্ ভরাটের কমপক্ষে ১০-১৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে। চারা রোপণের জন্য সবল, সতেজ ও রোগমুক্ত চারা নিবার্চন করতে হবে। সাবধানে পলিব্যাগ অপসারণ করতে হবে যাতে চারার গোড়ার মাটির চাকা ভেঙে না যায়। গোড়ার মাটির চাকাসমেত বীজতলায় চারাটি যতটুকু অংশ মাটির নিচে ছিল রোপণের সময় ঠিক ততটুকু অংশ মাটির নিচে রাখতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে সযতেœ চারাটিকে গতের্র ঠিক মাঝখানে বসিয়ে দিতে হবে। চারার চারপাশে ফঁাকা জায়গা হালকাভাবে চেপে মাটি দিয়ে পূরণ করতে হবে যেন কোনো ফঁাকা জায়গা না থাকে। চারা রোপণের পর পরই চারার গোড়ায় পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। চারা যাতে হেলে না পড়ে সে জন্য খুঁটি বসিয়ে চারা হালকাভাবে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে। গবাদিপশু কিংবা অন্য কোনো ক্ষতিকর প্রাণীর আক্রমণ থেকে চারাকে রক্ষার জন্য খঁাচা বা বেষ্টনীর ব্যবস্থা করতে হবে।
রোপণ পরবতীর্ পরিচযার্
বৃক্ষ চারা রোপণ পরবতীর্ পরিচযার্ অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয়। অন্যথায় বৃক্ষরোপণের সুফল কাক্সিক্ষত মানে পাওয়া যাবে না। সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণের মাধ্যমে দেশে ফলের উৎপাদন ২০ থেকে ৪০ ভাগ বাড়ানো সম্ভব। প্রয়োজনে চারার গোড়ায় সেচ দিতে হবে এবং পানি নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। চারার গোড়া আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। চারার গোড়ার মাটি শক্ত হয়ে গেলে তা আলগা করে দিতে হবে। রোপণকৃত চারা মরে গেলে তা তুলে নতুন চারা রোপণ করতে হবে। শীতকালে মাটির আদর্্রতা ধরে রাখতে শুকনো লতাপাতা, খড়, কচুরিপানা দিয়ে চারার গোড়ায় মালচিং করতে হবে। চারা সোজা রাখা ও বৃক্ষের নিদির্ষ্ট কাঠামো ঠিক রাখতে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা ছাটাই করতে হবে। চারার দ্রæত বৃদ্ধির জন্য চারা রোপণের এক মাস পর চারার গোড়ার এক ফুট দূর দিয়ে নালা তৈরি করে ১০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। ফলগাছের বেলায় প্রতি বছর বষার্র আগে একবার (বৈশাখ-জৈষ্ঠ) মাসে ও বষার্ শেষে (ভাদ্র-আশ্বিন) মাসে আর একবার বৃক্ষের বয়স এবং জাতভেদে পরিমাণ মতো জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে তা দমনের প্রয়োজীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফলদ বৃক্ষের বেলায় প্রতিবছর ফলের মৌসুম শেষে পুরাতন, রোগাক্রান্ত ও মৃত শাখা-প্রশাখা ছাটাই করে দিলে রোদ, আলো, বাতাস চলাচল বৃদ্ধির ফলে ফুল, ফল বেশি পাওয়া যাবে।
পরিশেষ
জলবায়ু পরিবতর্নজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও ক্রমবধর্মান জনসংখ্যার চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমাদের দেশে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই এবং তার-ই ধারাবাহিকতায় সরকারি পযার্য় থেকে বেসরকারি পযাের্য়র বিভিন্ন সংগঠন বৃক্ষরোপণে উৎসাহ প্রদানসহ জাতীয়পযাের্য় বিভিন্ন কমর্সূচি পালন করছেন। তাই আসুন বেশি করে বৃক্ষ চারা রোপণ করি এবং আমরা আমাদের বাসযোগ্য আগামী বিশ্ব গড়ে তুলি।