বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় ডেনমার্ক। এ ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নে সবসময় ডেনমার্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পিটারসেন গত ১৮ ফেব্রম্নয়ারি কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সচিবালয় তার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দুদেশের কৃষি ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের ও দ্বিপক্ষীয় বৈদেশিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতাও অব্যাহত রয়েছে। এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলেন জানান রাষ্ট্রদূত। কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা উত্তর ডেনমার্ক আমাদের দেশে উন্নয়ন সহায়তায় অংশ নিয়েছে। দেশটি মৎস্য, প্রযুক্তি ও কৃষি খাতে সহায়তা করে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে, উৎপাদিত শস্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণ একান্ত প্রয়োজন। যার ফলে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে, অতিরিক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে এবং জনগণের পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত সম্ভব। এই শিল্প দেশি -বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। কৃষক যে ফসলে ভালো দাম পাবে সেই ফসলই ফলাবে। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষৎ করেন আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্রের (আইএফডিসি) প্রতিনিধি ইসরাত জাহান। দেশে প্রায় ৪০ বছর ধরে কাজ করছে সংস্থাটি। আইএফডিসি প্রতিনিধি মন্ত্রীকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কৃষিমন্ত্রী কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের ওপর তাদের দীঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন।