শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল কতবেল

মতিয়ার রহমান
  ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

কতবেল অল্প পরিচিত বা অপরিচিত ফল। ইংরেজি নাম- ডড়ড়ফ ধঢ়ঢ়ষব। বৈজ্ঞানিক নাম- ঋবৎড়হরধ ষরড়সরধ। বাংলাদেশে বাউ কদবেল-১ ও বারি কদবেল-১ নামের উচ্চ ফলনশীল দুটি জাত পাওয়া যায়। বারি কদবেল-১ নিয়মিত প্রচুর ফল প্রদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। ফল গোলাকৃতি। পাকা ফল সবুজাভ বাদামি বণের্র। ফলের শঁাস গাঢ় বাদামি ও মধ্যম রসালো, আশের পরিমাণ কম, স্বাদ টক-মিষ্টি। ব্রিক্সমান ১৮.৬৭%। গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কদবেল বেশি জন্মে। কতবেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও স্বল্প পরিমাণে লৌহ, ভিটামিন বি১, বি২ ও ভিটামিন ‘সি’ বিদ্যমান। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য কদবেলে ৮৫.৬ গ্রাম জলীয় অংশ, ২.২ গ্রাম খনিজ পদাথর্, ৫.০ গ্রাম হজমযোগ্য অঁাশ, ৩.৫ গ্রাম আমিষ, ৮.৬ গ্রাম শকর্রা, ০.৬ মিলি গ্রাম লৌহ, ৫৯ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৩.০ মিলি গ্রাম ভিটামিন ‘সি’ এবং ৪৯ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়। কদবেল যকৃত ও হৃৎপিÐের বলবধর্ক হিসেবে কাজ করে। বিষাক্ত পোকা-মাকড় কামড়ালে ক্ষত স্থানে ফলের শঁাস এবং খোসার গুঁড়ার প্রলেপ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কচি পাতার রস দুধ ও মিসরির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে শিশুদের পিত্তরোগ ও পেটের পীড়া নিরাময় হয়। কদবেল কঁাচা ও পাকা উভয় প্রকারে খাওয়া যায়। এ ছাড়া আচার চাটনি বানাতেও কদবেল ব্যবহৃত হয়। পাকা কতবেল ভতার্ বানিয়ে খাওয়া বেশ জনপ্রিয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<18520 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1