বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুগন্ধী সন্ধ্যামালতি

ছবি ও লেখা : মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সন্ধ্যামালতি কাষ্ঠল লতাবিশেষ বহুবষর্জীবী ও ঝোপজাতীয় ফুলগাছ। প্রাপ্তবয়স্ক গাছ আকারে বৃহদাকার হয়। এর পরিবার-অঢ়ড়পুহধপবধব, উদ্ভিদতাত্তি¡ক নাম-অমধহড়ংসধ ফরপযড়ঃড়সধ। অন্যান্য নামের মধ্যে-গধষধঃর,ঈষড়াব ঝপবহঃবফ বপযরঃবং, গড়মধৎর, এড়হফযড় সধষড়ঃর, গধষধঃরষধঃধ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মালতি ফুল গ্রাম-শহর সবর্ত্র জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ছোট-বড় সবার কাছে বেশ সমাদৃত। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কথা কবিতা ও গানে এ মালতি ফুলের কথা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন অতি আবেগঘন ভাষায়, যেমন-কাননে ফোটে নবমালতি কদম্ব কেশর, বনের প্রান্তরে ওই মালতিরা, ওই তো মালতি ঝরে পড়ে যায় মোর আঙিনায়, বাদল বাতাস মাতে মালতির গন্ধে। মিষ্টি সুগন্ধী ফুল মালতি। ফুলের রং দুধ সাদা, বৃতি ৫টি, লম্বা ও চোখা। পাপড়ির সংখ্যাও ৫টি, সরু ও লম্বা এবং পাপড়িগুলো কিছুটা মোড়ানো আকারে থাকে। গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ফুল থোকায় থোকায় গুচ্ছভাবে ধরে। এর ফুলের আকার দেখতে অনেকটা জুঁই ফুলের মতো। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বষার্কাল। তবে গ্রীষ্মকাল থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে এর ব্যাপ্তি থাকে শরৎকাল সময় পযর্ন্ত। গাছের পাতা গড়নে আয়তকার, লম্বায় ৮ সেন্টিমিটার, রং সবুজ। তবে পাতার বেঁাটা, ফুলের বেঁাটা ও পাতার শিরা লালচে রঙের হয়। তা ছাড়া শিরা-উপশিরা স্পষ্ট। আয়ুবেির্দক চিকিৎসায় এর ব্যবহার রয়েছে। ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার করা যায়। সরাসরি মাটি ও টবে রোপণ উপযোগী ফুলগাছ। আমাদের দেশে বাসা-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাগান, পাকর্ ও উদ্যানে এ মালতি ফুলগাছ চোখে পড়ে। আপন মহিমায় মালতি বেঁচে থাক ছোট-বড় সবার হৃদয়ে সুদীঘর্কাল সে প্রত্যাশাই রইল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<13719 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1