শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক আলুকেন্দ্র হবে বাংলাদেশে

কৃষি ও সম্ভাবনা ডেস্ক
  ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশে উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আলুর অবস্থান। অনুকূল আবহাওয়ার ফলে নতুন করে দেশের বেশ কিছু জেলাতে ব্যাপকভাবে আলুর চাষ হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হলে সে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আলু উৎপাদন করতে হবে। আমাদের চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদিত আলু নিয়ে কাজ করতে হবে। এর প্রক্রিয়াজাত করে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে, পাশাপাশি আলুর বহুবিধ ব্যবহার বাড়াতে হবে। গত বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের (আপিসি) আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ড. ইউ. এস সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের বৈঠককালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় আলুর লেট বস্নাইট রোগ নিয়েও আলোচনা হয়। ড. ইউ এস সিং বলেন, ভারতেও আলুর অন্যতম সমস্যা লেট বস্নাইট রোগ। তা সত্ত্বেও ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম চিপস রপ্তানিকারক দেশ। আইপিসি চায় বাংলাদেশে একটি কেন্দ্র স্থাপন করতে। যেহেতু পূর্ব-এশিয়ায় তেমন আলু চাষ হচ্ছে না। এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কেন্দ্র করার জন্য প্রয়োজনীয় জমি দিবে, কারিগরি সব সহায়তা দিবে আইপিসি। আলুর জাত উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক আলু কেন্দ্রের সহায়তা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতে টাকার কোনো সমস্যা নেই। আমরা আপনাদের (আইপিসি'র) সহযোগিতা চাই, কীভাবে আলুর জাত উন্নয়ন ও তা প্রক্রিয়াজাত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায় সে ব্যাপারে। অনুকূল আবহাওয়া ও মাটির কারণে কিছু জেলায় আলুর প্রায় ৩০টি জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়। বিগত বছর আলুর উৎপাদন আমাদের চাহিদার চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ টন বেশি হয়েছে। এ ছাড়াও পুষ্টিমান সম্পন্ন মিষ্টি আলুর চাষ হচ্ছে আমাদের দেশে। এ খাতে বাংলাদেশকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। প্রতিনধিদলে আরো ছিলেন ড. লুৎফুল হাসান, উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. এম এ বারী, সাবেক পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে